বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুনন্নেছা মুজিব-এর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল মিলনায়তনে আজ ০৮ আগস্ট ২০২৩ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হলের মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বর্ণপদক ও বৃত্তি প্রদান এবং স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সহশিক্ষা কার্যক্রমে সফলতা ও স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ফাইনাল পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করায় হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বশিরুননিসা অনন্যা-কে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল স্বর্ণপদক ২০২০’ এবং ০৫ জন শিক্ষার্থীকে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল মেধাবৃত্তি’ প্রদান করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে স্বর্ণপদক, বৃত্তির চেক ও সনদ তুলে দেন।
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নিলুফার পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রফেসর ইমেরিটাস ড. এ. কে. আজাদ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হলের সহকারী আবাসিক শিক্ষক জ্যোতিস্বী চাকমা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, হলের আবাসিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সকল শহীদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি স্মারক বক্তাকে ধন্যবাদ এবং স্বর্ণপদক ও বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা জীবন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল আন্দোলন-সংগ্রামের নেপথ্যে মূল অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা। সকল সংকট ও প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলায় বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে শক্তি ও সাহস যুগিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁর পরিবারকে আগলে রাখার পাশাপাশি সুখ-দুঃখে গণমানুষের আশ্রয়দাতা ছিলেন বঙ্গমাতা। মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ত্যাগ, সাহসিকতা, ধৈর্য্য, মূল্যবোধ ও আদর্শ ধারণ করে যুক্তিবাদী ও প্রগতিশীল মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকার রাখার জন্য উপাচার্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
স্মারক বক্তা প্রফেসর ইমেরিটাস ড. এ. কে. আজাদ চৌধুরী বঙ্গমাতার সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে নিরবে-নিভৃতে কাজ করে গেছেন বেগম মুজিব। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বঙ্গমাতা সর্বদা স্বামীর পাশে থেকে দেশ ও জাতির সেবা করে গেছেন। দেশ ও দেশবাসীর জন্য সমগ্র জীবন তিনি আত্মত্যাগ করেছেন।
স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত বশিরুননিসা অনন্যা লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের লাবন্য আক্তার রত্না, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ফাতেমাতুজ জোহরা এলি, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের রাবেয়া সুলতানা ও নাজিয়া সিদ্দিকা ফারজানা এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তানিভা নূর সিনথী।
(মাহমুদ আলম)
পরিচালক
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুনন্নেছা মুজিব-এর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে গতকাল ০৮ আগস্ট ২০২৩ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল স্বর্ণপদক ও মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে স্বর্ণপদক, বৃত্তির চেক ও সনদ তুলে দেন। ছবিতে অতিথিবৃন্দের সঙ্গে স্বর্ণপদক ও বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের দেখা যাচ্ছে। (ছবি : ঢাবি জনসংযোগ)