হরেন্দ্র চন্দ্র পাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সী ও উর্দু বিভাগের প্রথম হিন্দু ছাত্র ছিলেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস ময়ময়সিংহ জেলার তাড়াইল থানাধীন সেকান্দরনগর ধলা গ্রামে। তিনি ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে ফার্সী ও উর্দু বিভাগ থেকে ফারসি বিষয়ে বিএ অনার্স এবং ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি এ বিভাগ থেকে বিএ (ভার্নাকুলার) পাশ করেন। এছাড়া তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে তুলনামূলক ভাষাতত্ত্ব ইরানি শাখা বিষয়ে এবং ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে বাংলা ও উর্দু বিষয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ‘১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘জালালুদ্দিন রুমি ও তাঁহার সুফিতত্ত্ব’ বিষয়ে ডি. লিট ডিগ্রি প্রাপ্ত হন’ (হাসেম, ২০১৫: ৯৮)। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার একটি কলেজে শিক্ষক হিসেবে তিনি তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। এছাড়া তিনি কলকাতা রিপন কলেজ, হুগলি সরকারি মহসিন কলেজ এবং কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজেও অধ্যাপনা করেন। সর্বশেষে তিনি মৌলানা আজাদ সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেন এবং ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে সেখান থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্সী ও উর্দু বিভাগে সহকারী অধ্যাপক পদের জন্য আবেদনও করেছিলেন; কিন্তু সফল হতে পারেননি। তিনি একজন গুণী লেখক হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ হচ্ছে-পারস্য সাহিত্যের ইতিহাস। এছাড়া তাঁর অন্যান্য গ্রন্থ হচ্ছে-উর্দু সাহিত্যের ইতিহাস, বাংলা সাহিত্যে আরবী-ফারসি শব্দ, Umar Khyyam and his Nauruznama, The Nauruz in the Shahnama.