গত ২০ মার্চ ২০২৩ সোমবার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগ ও "কান পেতে রই", বাংলাদেশের প্রথম মানসিক সহায়তা ও আত্মহত্যা প্রতিরোধ হেল্পলাইন যৌথভাবে একটি কর্মশালার আয়োজন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগ বরাবরই শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে যত্নশীল। কারণ, শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর এবং উৎপাদনশীল একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য এটি অপরিহার্য। এই চেতনা অক্ষুণ্ণ রাখতে বেসরকারি সংস্থা সাজিদা ফাউন্ডেশন ও "কান পেতে রই" এর অঙ্গসংগঠন "স্বজন" এর সহযোগিতায় এই কর্মশালাটি পরিচালনা করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রিমিনোলজি বিভাগের সম্মানিত চেয়ারপার্সন শাহারিয়া আফরিন, সাজিদা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা বৃষ্টি সুজ্যান গোমেজ, "কান পেতে রই" এর ব্যবস্থাপনা দলের সদস্য লাবিম মালিয়াত ও আশিক আব্দুল্লাহ শুভ এবং ক্রিমিনোলজি বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ। আগত অতিথিবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা যেসকল অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন, সে বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলেন। নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। বিশেষভাবে যে বিষয়টির উপর জোড় প্রদান করা হয়, সেটি হলো আত্মহত্যা। আত্মহত্যার কারণ, কারা তুলনামূলক বেশি আত্মহত্যাপ্রবণ, আত্মহত্যা প্রবণতার প্রাথমিক লক্ষনগুলো কি কি, আত্মহত্যাপ্রবণ ব্যক্তিদের সাহায্য করার উপায়, আত্মহত্যা নিয়ে প্রচলিত নানা ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কার, প্রভৃতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিশদভাবে অবহিত করা হয়।
"কান পেতে রই" ও "স্বজন" - এর কর্মকর্তারা তাঁদের কার্যক্রম সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানান। সমাপনী বক্তৃতায় ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারপার্সন শাহারিয়া আফরিন আগত কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন শারীরিক স্বাস্থ্যের মত মানসিক স্বাস্থ্যের ও পরিচর্যা প্রয়োজন। তবে বিশ্বজুড়েই মানসিক্ স্বাস্থ্য বিষয়টি অবহেলিত হয়ে আসছে। তিনি এ ব্যাপারে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। স্টিগমা ও কুসংষ্কার দূর করে প্রতিটি মানুষের কাছে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করেন। ভবিষ্যতে এমন কোনো উদ্যোগে ক্রিমিনোলজি বিভাগের সানন্দে জড়িত থাকার আশ্বাসও দেন তিনি। তাঁকে সমর্থন জানিয়ে শিক্ষার্থীরাও পূর্ণ অংশগ্রহণের আশা ব্যক্ত করে। সবশেষে আগত অতিথিদের বিভাগের পক্ষ হতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। সর্বোপরি, নানা বর্ষের শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত ও অংশগ্রহণমূলক মিথস্ক্রীয়ার ফলশ্রুতিতে উক্ত কর্মশালা যথেষ্ট ফলপ্রসূ ও কার্যকরী পদক্ষেপে রূপান্তরিত হয়।