Dr. Mohammad Al-Faruk (ড. মুহাম্মাদ আল-ফারুক)
শিক্ষা ও গবেষণা
ড. মুহাম্মাদ আল-ফারুক
ড. মুহাম্মাদ আল-ফারুক পেশাগত জীবনে একজন ঐতিহাসিক এবং তুলনামূলক ধর্মতত্ব বিশেষজ্ঞ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রথম শ্রেনীতে ১ম স্থান অধিকার করে বি.এ. (অনার্স) এবং এম.এ. ডিগ্রী লাভ করেন।
১৯৮০ সালে তিনি প্রভাষক হিসাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন শিক্ষকতার জীবন শরু করেন এবং ০৩ বছর পর
১৯৮৩ সালে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
১৯৮৫ সালের শুরুতে তিনি সহকারী অধ্যাপক হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন এবং একই বছর ফুলব্রাইট স্কলারশীপ নিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র গমন করেন। ফুলব্রাইট স্কলারশীপের পাশাপাশি তিনি কমনওয়েলথ স্কলারশীপও অর্জন করেন। ফলে, ফুলব্রাইট স্কলারশীপ অসম্পূর্ণ রেখেই তিনি কানাডার প্রখ্যাত টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান। সেখান থেকে প্রথমে মাষ্টার্স এবং পরে মধ্যপ্রাচ্যের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসের উপর পিএইডি ডিগ্রী অর্জন করেন। একই সাথে তিনি ইনফরমেশন ষ্টাডিজেও মাষ্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন।
ড. ফারুক ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে এডযাংক্ট প্রফেসর হিসাবে অধ্যাপনা করেন।
১৯৯৭-১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি মালোয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।
২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত ষ্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক-প্রফেশনাল পদে কর্মরত ছিলেন।
ঐ বছরই তিনি ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় আরবানা-শেম্পেইনে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন।
বর্তমানে তিনি অবসরে আছেন। তাঁর গবেষনাধর্মী লেখাগুলো আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন গবেষনা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
এছাড়া নেদারল্যাণ্ডস-এর লাইডেন শহরে অবস্থিত প্রখ্যাত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান Brill কর্তৃক প্রকাশিত The Encyclpaedia of the Qur'an এবং ক্যালিফোর্নিয়া থেকে প্রকাশিত Muhammad in History, Thought, and Culture শিরোনামের বিশ্বকোষ গ্রন্থে তার প্রবন্ধ সংযোজিত হয়েছে।
শিক্ষা জগতের বাইরে ড. ফারুক বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে জড়িত আছেন।
ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত ECHO (Educational, Charitable and Humanitarian Organization)-এর তিনি প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
বর্তমানে তিনি AABSP (American Association of Bangladeshi Scholars and Professionals)-এর প্রেসিডেন্ট।
তার শহরের একমাত্র মসজিদ CIMIC (Central Illinois Mosque and Islamic Center)-এর তিনি বোর্ড মেম্বার ও প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
গত ১৬ বছর ধরে তিনি শেম্পেইন-আরবানা শহরদ্বয়ে একটি কুরআন হালাকা পরিচালনা করে আসছেন।
এসব কিছুর বাইরে ব্যক্তিগত বিনোদনের জন্য তিনি বাগান করতে ভালোবাসেন।