১৯২১ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠালগ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ যে ১১টি বিভাগ নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছিল সেগুলোর মধ্যে স্যান্সক্রিটিক স্টাডিজ এবং সংস্কৃত ও বাংলা (Sanskritic Studies and Sanskrit and Bengali) বিভাগ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ভাষা ও সাহিত্যের গুরুত্বে ইংরেজির পরেই ছিল সংস্কৃতের স্থান।
সংস্কৃত ভাষা বিশ্বের সুপ্রাচীন ভাষাসমূহের মধ্যে অন্যতম। এর বয়স অন্তত পাঁচ হাজার বছর। প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে আধুনিক ভারতের আরম্ভ পর্যন্ত সাহিত্যের ভাষা হিসেবে, ধর্মের ভাষা হিসেবে এবং রাষ্ট্রের ভাষা হিসেবে সংস্কৃতের ছিল ব্যাপক প্রভাব, এমনকি এসব ক্ষেত্রে এই ভাষার কোনো যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বীও ছিল না। সুদীর্ঘ কালব্যাপী ভারতবর্ষে সংস্কৃত ভাষাই ছিল জ্ঞানচর্চার প্রধান বাহন এবং পাণ্ডিত্য ও ব্যক্তিত্ব পরিমাপের একমাত্র মানদণ্ড।
সংস্কৃত ভাষার এই গুরুত্ব অনুধাবন করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিনির্ধারকগণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নেই সংস্কৃত বিভাগটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাসময়ে বিভাগটির নামকরণ করা হয়েছিল “Sanskritic Studies and Sanskrit & Bengali”. বিভাগটির নামকরণ থেকেও সংস্কৃতের গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিভাগটির নামকরণ পরিবর্তিত হয়েছে। ১৯৩১ সালে বিভাগটির নামকরণ করা হয়েছে ”সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগ”, ১৯৩৭ সালে “সংস্কৃত বিভাগ”, ১৯৫০ সালে “বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগ”, ১৯৭০ সালে “সংস্কৃত ও পালি বিভাগ” এবং ২০০৭ সালের ১৫ মার্চ বিভাগটির নামকরণ করা হয় “সংস্কৃত বিভাগ”; যা এখন পর্যন্ত বর্তমান।
শুরুতে বিভাগের শিক্ষাক্রমের ধারা ছিল দুটি - ১. Sanskritic Studies এবং ২. Sanskrit and Bengali. প্রতিটি ধারার সিলেবাস ছিল ভিন্ন এবং ডিগ্রিও প্রদান করা হতো ভিন্নভাবে। ১. Sanskritic Studies ধারার সিলেবাস ছিল শুধুই সংস্কৃত ব্যাকরণ ও সাহিত্যের উপর এবং ২. Sannskrit and Bengali ধারার সিলেবাস ছিল অর্ধেক সংস্কৃত ব্যাকরণ ও সাহিত্যের উপর এবং অর্ধেক বাংলা সাহিত্যের উপর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের পাঠ্যক্রম সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যের পাঠ্যক্রমের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে ডিগ্রি প্রদান করা হতো। উভয় ধারা সমন্বিত এই বিভাগটি ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। কারণ তখনও বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত বিভাগ থাকলেও কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগ ছিল না। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ছিল তখন ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ বিভাগের অন্তর্গত বহু ভাষার একটি ভাষা।
১৯২১ সালে “Sanskritic Studies and Sanskrit & Bengali” বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেছিলেন কলিকাতা সংস্কৃত কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ, প্রাচ্যবিদ্যাবিশারদ, বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদের আবিষ্কারক, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও গবেষক মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী [সি আই ই, এম এ (কলিকাতা)]। রিডার পদে যোগদান করেছিলেন শ্রীশচন্দ্র চক্রবর্তী [বি এ (কলিকাতা) ট্রিপল, অনার্স - সংস্কৃত, ইংরেজি এবং দর্শন], প্রভাষক ছিলেন বিশিষ্ট লিপিবিশারদ রাধাগোবিন্দ বসাক [এম এ ( কলিকাতা )], গুরুপ্রসন্ন ভট্টাচার্য [এম এ ( কলিকাতা )] এবং বাংলার প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেছিলেন বহুভাষাবিদ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ [এম এ (কলিকাতা), বি এল (কলিকাতা)]। সহকারী শিক্ষক ছিলেন ননীগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় (কাব্যতীর্থ)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রার শুরুতেই মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর নেতৃত্বে সংস্কৃত বিভাগ সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য চর্চা ও গবেষণায় পণ্ডিতমহলে অতীব প্রশংসিত ও সমাদৃত হয়ে উঠেছিল। ১৯২৪ সালের সমাবর্তন উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর পি জে হার্টগ মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সংস্কৃত পুঁথির কয়েক খণ্ড ক্যাটালগ প্রকাশনা, রাধাগোবিন্দ বসাকের লিপিতত্ত্ব-বিষয়ক গবেষণা, গুরুপ্রসন্ন ভট্টাচার্যের উপনিষদ-সম্পর্কিত গবেষণা এবং মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ভাষাতত্ত্ব গবেষণা কর্মের অত্যন্ত প্রশংসা করেছিলেন। তিনি তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও অসাধারণ কর্মদক্ষতার গুণে সংস্কৃত বিভাগকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শক্ত ও সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছিয়ে দিয়েছিলেন।
১৯২৫ সালে লব্ধপ্রতিষ্ঠ শিক্ষক ও গবেষক ড. সুশীল কুমার দে [এম এ (ইংরেজি, অনার্স ও মাস্টার্স উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি (কলিকাতা)), ডি লিট (লন্ডন)] সংস্কৃত বিভাগে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ১৯২৭ সালে বিভাগীয় প্রধান ড. সুশীল কুমার দে কলা অনুষদের ডিন নির্বাচিত হন এবং ১৯৩২-৩৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁরই তত্ত্বাবধানে ১৯২৭ সালের ১৬ই আগস্ট সংস্কৃত বিভাগে সংস্কৃত ও বাংলা বিষয়ে গবেষণার জন্য “Sanskrit and Bengali Association” নামে একটি গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
দেশভাগের ফলে শিক্ষক ও ছাত্র উভয়ের অভাবে কয়েক বছর সংস্কৃতের অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা খুবই ব্যাহত হয়। ১৯৭০ সালে ৩০ অক্টোবর ‘বাংলা ও সংস্কৃত’ বিভাগটি আবার পৃথক হয়ে একটি ‘বাংলা’ এবং অন্যটি ‘সংস্কৃত ও পালি বিভাগ’ নামে প্রতিষ্ঠা পায়। বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী এবং উপাচার্য বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর আগ্রহে বিভাগটির বিভাজন হয়ে দুটি আলাদা বিভাগের জন্ম হয়। তবে বিভাগ আলাদা হলেও অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীই দুটি বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টির সেই ১৯২১ সাল থেকে সংস্কৃত বিভাগটি বিভিন্ন সময়ে, রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রয়োজনের প্রেক্ষাপটে, সময়ের বাস্তবতায় বিভিন্ন নামকরণে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০০৭ সালে বিভাগটি শেষবারের মতো স্বনামে পরিচিতি পেয়েছে এবং তখন থেকে এটি ‘সংস্কৃত বিভাগ’। বর্তমানে সেমিস্টার পদ্ধতিতে চার বছর মেয়াদি বিএ সম্মান কোর্স এবং এক বছর মেয়াদি এমএ কোর্স প্রচলিত। বিএ সম্মান শ্রেণিতে ৮টি সেমিস্টার মোট ৩৫০০ নম্বর ও ১৪০ ক্রেডিট এবং এমএ শ্রেণিতে ২টি সেমিস্টার মোট ১০০০ নম্বর ও ৪০ ক্রেডিট রয়েছে। এছাড়াও বিভাগে নিয়মিত এম. ফিল ও পিএইচ.ডি গবেষণা চলছে।
বিভাগে উল্লেখযোগ্য পুস্তক ও জার্নালে সমৃদ্ধ একটি সেমিনার লাইব্রেরি আছে। বিভাগের সঙ্গে যুক্ত আছে ‘অধ্যাপক দিলীপ কুমার ভট্টাচার্য্য গবেষণা কেন্দ্র’। অধ্যাপক ভট্টাচার্য্য তাঁর মৃত্যুর পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁর প্রাপ্য অর্থের অর্ধেক বিভাগকে উইল করে দিয়ে যান। এই অর্থেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গবেষণা কেন্দ্রটি। এই কেন্দ্র থেকে প্রতিবছর প্রাচ্যবিদ্যা নামে একটি গবেষণা পত্রিকা প্রকাশ এবং স্মারক বক্তৃতা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এছাড়া ২০১৬ সাল থেকে মন্দাক্রান্তা নামে সংস্কৃত ভাষায় একটি ষাণ্মাসিক পত্রিকা প্রকাশ শুরু হয়েছে।
বিভাগে একটি সাংস্কৃতিক ক্লাব এবং একটি ডিবেটিং ক্লাব রয়েছে। এছাড়া ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের সহায়তায় বিভাগে একটি উন্নতমানের কম্পিউটার ল্যাব ও ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া ‘অধ্যাপক নূরুন্নাহার বেগম ট্রাস্ট ফান্ড’, ‘ড. ফয়েজুন্নেছা বেগম ট্রাস্ট ফান্ড’, ‘ইসমাইল পণ্ডিত মেমোরিয়াল বৃত্তি’ নামে ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই ফান্ড থেকে বিভাগীয় কতিপয় ছাত্র-ছাত্রী নিয়মানুযায়ী বৃত্তি পেয়ে থাকে। এছাড়াও বিভাগীয় শিক্ষক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তায় শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কল্যাণ ফান্ডও গঠিত হয়েছে।
সংস্কৃত বিভাগকে যাঁরা আলোকিত করেছেন এবং বিশ্বদরবারে সংস্কৃতভাষা ও সাহিত্যকে তুলে ধরেছেন সেই সকল খ্যাতিমান শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন - মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, ড. সুশীল কুমার দে, ড. প্রবোধ চন্দ্র লাহিড়ী, ড. রাধাগোবিন্দ বসাক, ড. রাজেন্দ্র চন্দ্র হাজরা, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ঠাকুর প্রমুখ। এছাড়া সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যের গবেষণা করে যাঁরা ঋদ্ধ হয়েছেন সেই সকল প্রয়াত অধ্যাপকগণ হলেন - ড. পরেশ চন্দ্র মণ্ডল, ড. ফয়েজুন্নেছা বেগম, চুণীলাল রায় চৌধুরী, ড. দিলীপ কুমার ভট্টাচার্য্য প্রমুখ। বর্তমান সময়ে যাঁরা পাঠদান করছেন এবং বিভাগকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় নিরত আছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন - বিদগ্ধ পণ্ডিত অধ্যাপক ড. নারায়ণচন্দ্র বিশ্বাস (বিদ্যালঙ্কার), ভাষাতত্ত্ববিদ অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী, পাণ্ডুলিপি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. দুলাল কান্তি ভৌমিক, অধ্যাপক ড. মাধবী রাণী চন্দ, অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, অধ্যাপক ড. মালবিকা বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. ময়না তালুকদার, ড. চন্দনা রাণী বিশ্বাস, ড. সঞ্চিতা গুহ, ড. কালিদাস ভক্ত, ড. প্রমথ মিস্ত্রী, নমিতা মণ্ডল, তিতাস কুমার শীল, রথীন্দ্র সরকার প্রমুখ।
সংস্কৃত বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অনেকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যাপনা করছেন এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি দপ্তরসমূহে ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।
Dhaka University, known as the Oxford of the east, starts its academic programme on 1st of July in 1921. Sanskrit studies and Sanskrit and Bengali was one of the eleven departments under the Arts faculty of Dhaka University since the beginning of its foundation. Sanskrit was considered to be the most prominent language and literature after English.
Sanskrit is one of the ancient languages of the world. Its age is at least five thousand years. Sanskrit had a great influence as the language of literature, religion and state language from the ancient age to the beginning of modern India. Even, there was no able competitor of this language in this area. For a long period in Indian subcontinent Sanskrit was the prime medium of the study of knowledge and the only standard to measure scholarship and indivisuality.
The authorities acknowledged the importance of Sanskrit language and decided to open a department in the name of Sanskrit. The department was named as Sanskritic studies and Sanskrit and Bengali during its establishment. The importance of Sanskrit can be understood from the name of the department. The name of the department had been changed several times under different circumstances. In 1931 the name of the department was Sanskrit and Bengali, in 1937, the name of the department was only Sanskrit, in 1950, it became Bengali and Sanskrit, in 1970, it became the department of Sanskrit and Pali and in 15th march of 2007, the department was named as Sanskrit, which is continued till date.
There were two streams in this department, one was Sanskritic studies and the other was Sanskrit and Bengali. Each stream had its own syllabus and individual degree. Fully Sanskrit grammar and literature were included in Sanskritic studies and the syllabus of Sanskrit and Bengali was partly Sanskrit grammar and Sanskrit literature and partly Bengali literature. It was a very dynamic step for Dhaka University, running Sanskrit and Bengali curriculum simultaneously. In that time Sanskrit department existed in many universities but there was no Bengali department in any University of the world. Bengali was one of the different languages under the Indian language department in Calcutta University.
In 1921, renowned educationist, researcher, orientalist, explorer of Charyapada, former head of the department of Sanskrit college of Calcutta, Mahamahopadhyaya Haraprasad Shastri [CIE, M.A, Calcutta] was the head of the department of Sanskritic studies and Sanskrit and Bengali. Successively Shrish Chandra Chakrabarty [Reader, B.A(Calcutta) triple Hons. Sanskrit, English and philosophy], famous calligrapher Radhagovinda Basak [Lecturer, M.A(Calcutta)], Guruprasanna Bhattacharya[M.A(Calcutta)] linguist Muhammad Shahidulla [Lecturer in Bengali, M.A, BL(Calcutta)] Ganesh Charan Bose, Nani Gopal Banerjee (Kavyatirtha) joined the department.
From the first academic journey of Dhaka University, by the leadership of Mahamahopadhyaya Haraprasad Shastri, Sanskrit department achieved a prestigious position in the arena of learned community. In 1924 P.J. Hartog, the first Vice-Chancellor of Dhaka University, in his convocational address, praised highly about the publication of some volumes of the catalogue of Sanskrit manuscripts by Mahamahopadhyaya Haraprasad Shastri, research Radhagovinda Basak on calligraphy, research Guruprasanna Bhattacharya on Upanishad and the research of Md. Shahidullah on Linguistic. For the distinctive activity of Mahamahopadyaya Haraprasad Shastri, the Sanskrit department reached to a strong and glorious position in Dhaka Universtity.
In 1925, Dr. Shushil Kumar De [M.A in English (Calcutta), D.Lit.(London)], an eminent Professor and researcher joined as the head of the department of Sanskrit. In 1927, Shushil Kumar De was the elected dean of the faculty of Arts and also took the charge of registrar of this University in 1932-1933. He established “Sanskrit and Bengali Association” in 1927 for research in Sanskrit and Bengali.
The practice of Sanskrit was greatly hampered for some years due to the lack of students and teachers during the partition of the country. In 1970, the department was divided into two separate departments. One was the department of Bengali and the other was the department of Sanskrit and Pali. And it was possible by the initiative of Monir Chowdhury, head of the department and Justice Abu Syed Chowdhury, the Vice Chancellor of the University. Professor Monir Chowdhury was the head of both departments. In the month of March15, 2007, one was the department of Sanskrit and the other was the department of Pali and Buddhist studies.‘Sanskrit and Pali’ department was separated into two independent department.
From 1921, the department of Sanskrit changed its name several times due to various sociopolitical and practical reasons. Now four years B.A. honors course and one year masters course are conducted in semester system. B.A Honors has 140 credit with eight semesters and 3500 marks and M.A has two semesters of 40 credits with 1000 marks. Alongside M.Phil and Ph.D are courses.
There are many important books and journals in the seminar library of this department. ‘Professor Dilip Kumar Bhattacharya Research Centre’ is attached this department. Professor Bhattayacharya donated half of his due from the University to the department as his will before his death. The research centre is established with this money. Research journal Prachayavidya, memorial lectures, national and international seminars are organized every year by this center. Moreover, ‘Mandakranta’ a six-monthly journal in Sanskrit language is published from this centre since 2016.
There is a cultural club and debating club in the department. There are also a modernized computer lab and a well furnished class room provided by the high commission of India in Bangladesh. In addition, Professor ‘Nurunahar Begum trust fund’, ‘Professor Dr. Faizunessa Begum trust fund’, Ismail Pandit memorial scholarship’ are also established in this department. Some meritorious and poor students of this department get scholarship from these funds. Additionally, the teachers and well-wishers have raised a welfare fund for the students.
Mahamahopadhyaya Harprasad Shastri, Dr. Sushil Kumar De, Probodh Chandra Lahiri, Dr. Radhagovinda Basak, Dr Rajendra Chandra Hazra, Rabindra Nath Ghosh Thakur were the most eminent and foremost Professors of Sanskrit department who devoted their works for the enlightenment of the department and development of Sanskrit language and literature. Moreover, the late Sanskrit scholars Dr. Paresh Chandra Mandal, Dr. Faizunessa Begum, Chunilal Roy Chowdhury, Dr. Dilip Kumar Bhattacharya had a great impact by studying Sanskrit language and literature. There are teachers, who are still serving their knowledge on this subject and trying to establish it to a higher stage, among them the well-known names are learned Prof. Dr. Narayan Chandra Biswas (Vidyalankar), Linguist Prof. Niranjan Adhikary, Manuscript specialist Prof. Dr. Dulal Kanti Bhowmik, Prof. Dr. Madhabi Rani Chanda, Prof. Dr. Asim Sarkar, Prof. Dr. Malabika Biswas, Prof. Dr. Mayna Talukdar, Dr. Chandana Rani Biswas, Dr. Sanchita Guha, Dr. Kalidas Bhakta, Dr. Promatha Mistry, Namita Mandal, Titash Kumar Sil and Rathindro Sarkar.
Many students who have graduated from this department are in various places, with respective services, e.g. teaching in schools, colleges and universities, working in ministry and various government and non government organization