১৯৭১-এর ২৫ মার্চ কালরাত ও গণহত্যা দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হলে নিহত শহীদদের স্মরণে হল প্রাঙ্গণে গতকাল ২৫ মার্চ ২০১৯ সোমবার এক স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অসীম সরকার। এসময় বক্তব্য রাখেন পঙ্কজ দেবনাথ এম পি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, ডাকসুর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও সহ-সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার, জগন্নাথ হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি স্বপন কুমার সাহা ও সাধারণ সম্পাদক মলয় সাহা, জগন্নাথ হলের ২৫ মার্চ কালরাত ও গণহত্যা দিবস পালন কমিটির আহবায়ক দুলাল চন্দ্র গাইন প্রমুখ। এছাড়া জগন্নাথ হলসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের বিপুল সংখ্যক সদস্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহীদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের রাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হল (তৎকালীন ইকবাল হল), রোকেয়া হল, জগন্নাথ হল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে বর্বরোচিত ও নৃশংস গণহত্যা চালিয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে এ ধরনের জঘন্যতম হত্যাকান্ড বিশ্বের আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনও ঘটেনি। তিনি পাকসেনাদের এই বর্বরোচিত নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট জোরালো দাবি জানান।

 উপাচার্য আরও বলেন, জগন্নাথ হলে পাক সেনাদের আক্রমণ ছিল সাম্প্রদায়িকতার পৈশাচিক বহিঃপ্রকাশ। সেই অন্ধকার দূরীভূত করতে প্রতিবছর আমরা এখানে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের প্রতিকী কর্মসূচী পালন করে আসছি। এই আলো অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমাজ নির্মাণের আলো। তিনি নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের প্রতি এই আলো ধারণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য আহ্বান জানান ।

উল্লেখ্য, প্রতি বছরই ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ  শহীদদের স্মরণ করে এবং শ্রদ্ধা জানায়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বিকাল ৪.০১ মিনিটে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সন্ধ্যা ৬.০১ মিনিটে স্থাপনা শিল্প ও স্থিরচিত্র প্রদর্শনী, সন্ধ্যা ৭.০১ মিনিটে দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা আবৃত্তি, রাত ৯.০০ মিনিটে ব্ল্যাকআউট, রাত ৯.০১  মিনিটে গণসমাধিতে মোমবাতি প্রজ্বলন ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, রাত ৯.১০  মিনিটে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী এবং রাত ৯.২০ মিনিটে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
--------------
মাহমুদ আলম
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১৯৭১-এর ২৫ মার্চ কালরাত ও গণহত্যা দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হলে নিহত শহীদদের স্মরণে হল প্রাঙ্গণে গতকাল ২৫ মার্চ ২০১৯ সোমবার এক স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এসময় পঙ্কজ দেবনাথ এম পি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, ডাকসুর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ছবিতে উপাচার্যকে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করতে দেখা যাচ্ছে। (ছবি : ঢাবি জনসংযোগ)

১৯৭১-এর ২৫ মার্চ কালরাত ও গণহত্যা দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হলে নিহত শহীদদের স্মরণে গতকাল ২৫ মার্চ ২০১৯ সোমবার হলে গণসমাধিতে মোমবাতি প্রজ্বলন ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এসময় পঙ্কজ দেবনাথ এম পি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, ডাকসুর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  ছবিতে অতিথিদের মোমবাতি প্রজ্বলন করতে দেখা যাচ্ছে। (ছবি : ঢাবি জনসংযোগ)