শিল্পকলায় অনন্য অবদানের জন্য অধ্যাপক শিল্পী মিজানুর রহিম এবং অধ্যাপক শিল্পী ড. রফিকুল আলমকে ‘জয়নুল সম্মাননা ২০২৪’ পদক প্রদান করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান আজ ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ রবিবার জয়নুল উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তাঁদের হাতে এই পদক তুলে দেন। অধ্যাপক শিল্পী ড. রফিকুল আলমের পক্ষে পদক গ্রহণ করেন তাঁর স্ত্রী সুফিয়া আক্তার। উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শিল্পী ড. রফিকুল আলম একজন বিশিষ্ট শিল্পসমালোচক, গবেষক, শিল্পকলার ইতিহাসবিদ এবং রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শিল্পী মিজানুর রহিম চারুশিল্পের একজন স্বনামধন্য শিক্ষক ও গবেষক।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং শিল্পাচার্য-পুত্র প্রকৌশলী ময়নুল আবেদিন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষদের শিক্ষার্থীদের সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তাঁর শিল্পকর্মের মাঝে আমাদের সংগ্রামের ইতিহাস খুঁজে পাই। জাতি হিসেবে আমরা একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমাদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখা খুবই জরুরি। সকলের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে জয়নুল উৎসবের মতো আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের আধুনিক শিল্পকলার পথিকৃৎ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১১০তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ ৩-দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য এই উৎসব আয়োজন করে। গত ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ শুক্রবার উৎসবের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গতকাল ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ উৎসবের দ্বিতীয় দিনে স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সাত্তার। আজ ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার, বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠী ও শ্রেণি-পেশার মানুষ শিল্পাচার্যের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় উৎসব। এতে অনুষদের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য ও ফ্যাশন শো পরিবেশন করেন। উৎসব উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হস্তশিল্পী এবং অনুষদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শিল্পকর্ম নিয়ে আয়োজন করা হয় লোকশিল্প মেলা। এছাড়া, অনুষদের শিক্ষকবৃন্দের নির্বাচিত শিল্পকর্ম নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
(মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম )
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়