বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত তৃতীয় হল। কুয়েত সরকারের অর্থনৈতিক সহায়তায় ১৯৮৯ সালে এই হলের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয় এবং ১৯৯০ সালের ১৯ মে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। হলে দুটি প্রধান ব্লক, একটি হল সংসদ অফিস, ডাইনিং হল, একাট অডিটরিয়াম, বিএনসিসি, প্রার্থনা কক্ষ, অভ্যন্তরীন ক্রীড়া কক্ষ, বির্তাকিকদের জন্য কক্ষ, অতিথি কক্ষ, একটি গ্রন্থাগার, একটি পাঠকক্ষ, একটি কমনরুম, সংগীত/নৃত্যকলা কক্ষ, একটি বিপণী-বিতান এবং ফটোকপি কর্নার রয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষক এবং হল সংসদের সাথে সাধারণ সভায় অংশ নেয়। ছাত্রীদের চিকিৎসা সেবা ও মনোবৈজ্ঞানিক সহায়তা দেয়া হয়। হলে রয়েছে কম্পিউটার ল্যাব, আইপিএস সুবিধা এবং ওয়াইফাই সংযোগসহ অত্যাধুনিক সুবিধা। হল থেকে ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য বাসের ব্যবস্থা রয়েছে। এই হলের সাথে সংযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলে থাকার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে আবেদন করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত প্রতিষ্ঠিত নিয়মকানুন অনুসরণ করে যাচাই-বাছাই শেষে প্রতিবছর মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়। হলে বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম পরিচালিত হয় যা সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি বজায় রাখতেও সহায়তা করে। ঈদ, পূজা, ভাষা শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস এবং অন্যান্য সকল জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়। শিক্ষার্থীরা অভ্যন্তরীন এবং বহি:ক্রীড়া ও বিভিন্ন সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে থাকে। শিক্ষা ও নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত ও শান্তিপূর্ণভাবে থাকার জন্য হল প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে।