ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সর্ববৃহৎ ছাত্রী হল হিসেবে রোকেয়া হলের আসন অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। ১৯৩৮ সালে ১০-১২ জন ছাত্রী নিয়ে উইমেন্স হোস্টেল এর যাত্রা শুরু যা "শামসুল হুদা হাউস" কিংবা "চামেরী হাউস" নামে পরিচিত ছিল। এটি ১৯৫৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে "উইমেন্স হল" নামে স্বীকৃতি পায়। পরবর্তীতে ১৯৬৪ সালে এই উপমহাদেশের নারী জাগরণ ও নারী শিক্ষার অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেনের নামে এর নামকরণ করা হয় "রোকেয়া হল"। এই হলের প্রথম প্রভোষ্ট হিসেবে নিয়োগ পান দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আখতার ইমাম। ১৯৬৪ সালে রোকেয়া হলের নিজস্ব পাঁচ তলা ভবনটি আমেরিকান সরকারের অনুদানে নির্মিত হয়। এ হলের চামেলী ভবনে প্রাধক্ষের অফিস ও আবাসিক শিক্ষকদের অফিস স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে, ২০১৬ সালে ৭ মার্চ ভবনটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। বর্তমান প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৮ সালে ভবনটি উদ্বোধনের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চ ভাষণের স্মরণে নির্মিত ১০০৮ আসন বিশিষ্ট এ আধুনিক ভবনটির উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ২০১৮ সনের ১ সেপ্টেম্বর। বর্তমানে রোকেয়া হলের চারটি ভবনের নাম শাপলা ভবন, চামেলী ভবন, অপরাজিতা ভবন ও ৭ মার্চ ভবন। রোকেয়া হলের এ চারটি ভবনে কক্ষ সংখ্যা মোট ৫২০ টি এবং আবাসিক ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ২,৭০০। রোকেয়া হলের সাথে সংযুক্ত ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৭,০০০ (সাত হাজার)।