ঐতিহ্যবাহী মাস্টারদা সূর্য সেন হল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তম আবাসিক হলগুলোর অন্যতম। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থানের দিক হতে এটি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হল। সূর্য সেন হলের রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের আবাসিক সংকট নিরসনে এপ্রিল ১৯৬৪ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় এ হলের। ১৯৬৬ সালে এর নির্মাণকাজ সমাপ্ত হলে মুহম্মদ আলী জিন্নাহ হল হিসেবে এর নামকরণ করা হয়। ৪ একর ভ‚মিতে নির্মিত দুইটি ব্লকে ছয়তলা ভবনের ৩৮২ কক্ষবিশিষ্ট বৃহৎ এ হলটি মার্চ ১৯৭১ সালে ছাত্র কর্তৃক এবং জুন ১৯৭২ সালে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাস্টারদা সূর্য সেন হল হিসেবে অনুমোদন লাভ করে। আবাসিক ভবনের মাঝখানে রয়েছে একটি ফুলের বাগান, দু’টি কৃত্রিম জলাধার ও ফোয়ারা। উল্ল্যেখযোগ্য স্থাপনার মধ্যে রয়েছে একটি শহীদ মিনার ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এই হলের শহীদ ছাত্র-শিক্ষকবৃন্দের স্মরণে নির্মিত ভাষ্কর্য ‘স্মৃতির জানালা’ এবং মাস্টারদা সূর্য সেনের একটি ম্যুরাল। হলটির অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ১০০ মিটার উত্তর-পশ্চিমে। এর পূর্বে রয়েছে স্যার পিজে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হল, উত্তরে বিজয় একাত্তর হল ও দক্ষিণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সূর্য সেন হল এ দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও অর্থনীতিসহ সার্বিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করে চলেছে। হলের কৃতী শিক্ষার্থীরা সাফল্যের সঙ্গে শিক্ষাজীবন শেষে দেশ-জাতির বৃহত্তর স্বার্থে, জাতীয় উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় অবদান রেখে চলেছেন।