প্রিন্টমেকিং বিভাগ, চারুকলা অনুষদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বি.এফ.এ (সম্মান) কোর্সের পাঠ্যক্রম
পূর্ণ মান -২২০০ , ক্রেডিট আওয়ার -১৯০
১ম বর্ষ বি এফ এ (সম্মান) কোসর্ ২০১৩-২০১৪ সেশন থেকে কার্যকর হবে
উদ্দেশ্য :
১৯৪৮ সালে বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রিন্টমেকিং বিভাগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিল্প গুরু সফিউদ্দিন আহমেদ এর হাত ধরেই একাডেমিক কার্যক্রম ও উদ্দেশ্য সফলভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। পরবর্তীতে অধ্যাপক এমিরিটাস মোহাম্মদ কিবরিয়া এই বিভাগে শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। শিল্পকলার ইতিহাসে ছাপচিত্র একটি প্রাচীন মাধ্যম ও অভিব্যক্তায়নের ভাষা হিসেবে পরিচিত। চারুশিল্পের মাধ্যমগুলোর মধ্যে এই শিল্পভাষার নানামুখী অপরিসীম অভিব্যক্তায়নের ক্ষমতা শিল্পী ও শিল্প পিপাসুদের কাছে আজও অবস্যম্ভাবী গুরুত্বের দাবীদার। এই শিল্পভাষার নানা মাধ্যম (যেমন-এচিং, লিথোগ্রাফি, উডকাট ইত্যাদি) সম্পর্কে শিক্ষার্থীদেরকে অবহিত ও প্রত্যক্ষ শিক্ষাদানের মাধ্যমে তাদেরকে স্বক্ষেত্রে শিল্প, শিল্পী ও শিল্পজগৎ সম্পর্কে একটা প্রচ্ছন্ন ধারনা দেয়া, সেই সাথে তাৎপর্যপূর্ণ করে গড়ে তোলাই এই বিভাগের উদ্দেশ্য। ছাপচিত্র বিভাগে চার বছর মেয়াদী বি.এফ.এ (সম্মান) কোর্সে শিক্ষার্থীদের প্রথম ২ বছর ছবি আকার ও ছাপচিত্রের বেসিক শেখানোর উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। যেমন: ড্রইং, পেন্সিলস্কেচ, পেন স্কেচ, জল রং, বেসিক ডিজাইন, রিলিফ প্রসেস, ইন্টাগলিও প্রসেস, প্লেনোগ্রাফিক প্রসেস ইত্যাদি সম্পর্কে সাধারন ধারনা দেয়া হয়ে থাকে। এই বেসিক অনুশীলনের উপর নির্ভর করে পরবর্তী ২ বছর একজন শিক্ষার্থী তার ছাপচিত্রের মাধ্যমগুলোতে নিয়মতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে দক্ষ হয়ে উঠবে। যেমন: উডকাট, লিথোগ্রাফ, এচিং, ড্রাইপয়েন্ট, এচিং একুয়াটিন্ট ইত্যাদি। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের ছাপচিত্রের ইতিহাস, শিল্প উপকরণ ও করণ কৌশল সম্পর্কে শিক্ষা দান করা হয়ে থাকে। ছাপচিত্র নির্মান বিষয়ের তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক শিক্ষা দান করা হয়ে থাকে, যার ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীরা এর কৌশলগত দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান লাভ ও প্রয়োগ করতে সমর্থ হয়ে উঠতে পারে। একই সাথে একজন শিক্ষার্থী শুরু থেকে সমসাময়িক শিল্পভাষা সম্পর্কেও ধারনা লাভ করতে পারে। এর মাধ্যমে তারা কনভেনশনাল ও ননকনভেনশনাল প্রিন্টমেকিং সম্পর্কে কিছুটা ধারনা লাভ করতে পারে। সাথে সাথে ব্যবহারিক ক্লাসের মাধ্যমে মাধ্যমগত নানা বিষয়গুলো শেখানো হয় ফলে একজন শিক্ষার্থী যখন চতুর্থ বর্ষে পদার্পন করে তখন যেন, সে পূর্ববর্তী অনুশীলনের অভিজ্ঞতা দিয়ে নিরীক্ষামূলক কাজ করার পূর্ব প্রস্তুতিমূলক শিল্পশিক্ষার চর্চা অব্যাহত রেখে ধীরে ধীরে এম.এফ.এ এর উচ্চতর শিক্ষার জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থী হয়ে উঠতে পারে। সেই সাথে ছবি আকার মাধ্যমগত ও আঙ্গিকগত চর্চার পথ অনুসন্ধানে উৎসাহিত হয়। তত্ত্বীয় বিষয়গুলো প্রত্যেক বর্ষেই বাধ্যতামূলক করার ফলে শিক্ষার্থীরা বিশ্বশিল্পকলার ইতিহাস এবং সমকালীন শিল্পকলা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে।