ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষা বর্ষের বি.এ (সম্মান) ফাইনাল পরীক্ষায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারী ১৪জন শিক্ষার্থীকে রবিবার 'অধ্যাপক জিয়া হায়দার স্মারক বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক প্রদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমন্ডল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির। 

এছাড়া, অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপার্সন কাজী তামান্না হক সিগমা এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার। 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বৃত্তিপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, অধ্যাপক জিয়া হায়দার ছিলেন একজন মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষক ও গবেষক এবং নাট্য জগতের একজন বরেণ্য ব্যাক্তিত্ব। দেশে নাট্য চর্চা ও প্রসারে তাঁর অপরিসীম অবদান রয়েছে। নৈতিক, মানবিক, অসাম্প্রদায়িক ও উদার মূলবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে ওঠার জন্য উপাচার্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপার্সন কাজী তামান্না হক সিগমা বলেন, "এই দিনটি আমাদের বিভাগের জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং অর্থপূর্ণ একটি দিন। কারণ তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক বিচারে বিশেষায়িত এই বিভাগের কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে এমন এক ব্যক্তির নামে বৃত্তি প্রদান হতে যাচ্ছে, যে ব্যক্তির হাত ধরেই বাংলাদেশে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক প্রাতিষ্ঠানিক নাট্য বিষয়ে পাঠ দানের সূচনা ঘটে। তিনি আমাদের মাঝর না থাকলেও অভিভাবক হয়ে আমাদের এই প্রেক্ষাগৃহে হাঁটছেন, চলছেন, ফিরছেন আর আমাদের অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন।"

তিনি জিয়া হায়দার পরিবার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, "আজ আমরা অত্যন্ত অনুপ্রাণিত।  আপনাদের ধারাবাহিক মনোযোগ এবং প্রয়াসে জিয়া হায়দার বৃত্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিমণ্ডলে ঐতিহ্যবাহী ও বিশেষ সম্মানের হয়ে উঠছে।"

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন এস. এম লাতিফুল খাবির, কীর্তি বিজয়া, ইমতেনান মোহাম্মদ জাকি, কামরুন নাহার লিজা, মোঃ আমিনুর রহমান, আহম্মেদ রাউফুর রহিম, রুদ্র সাওজাল, ফারজিয়া হক ফারিন, মোঃআশরাফুল ইসলাম, দেবাশীষ কুমার দে প্রশান্ত, কৃপাকনা তালুকদার, তানজিলা জান্নাত রুমা, উম্মে সুমাইয়া ও শংকর কুমার বিশ্বাস।