বিশিষ্ট আবৃত্তিকার কাজী আরিফের মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আজ ৩০ এপ্রিল ২০১৭ রবিবার এক শোকবাণীতে উপাচার্য বলেন, বিশিষ্ট আবৃত্তিকার কাজী আরিফ আবৃত্তির পাশাপাশি লেখালেখিও করতেন, সক্রিয় ছিলেন সাংস্কৃতিক আন্দোলনে। সর্বোপরি তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর অবদানের জন্য দেশবাসীর কাছে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। উপাচার্য মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
কাজী আরিফের জন্ম ১৯৫২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, রাজবাড়ী সদরের কাজীকান্দা গ্রামে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরপরই স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দেন তিনি। ১৯৭১ সালে ১ নম্বর সেক্টরে মেজর রফিকুল ইসলামের কমান্ডে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন কাজী আরিফ। এরপর যুদ্ধ শেষে বুয়েটে লেখাপড়া শুরু করেন এবং এগিয়ে যেতে থাকেন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে। ১৯৭৩ সালে প্রথম বিটিভি ও বেতারে আবৃত্তি করলেও কাজী আরিফের প্রথম অ্যালবাম ‘পত্রপুট’ বের হয় ১৯৮০ সালে। মোট ১৭টি কবিতার অ্যালবাম বেরিয়েছে তাঁর। মুক্তকণ্ঠ আবৃত্তি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা কাজী আরিফ বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ছিলেন। তিনি স্বনামধন্য একজন স্থপতি ছিলেন।
উল্লেখ্য, কাজী আরিফ নিউ ইয়র্ক ম্যানহাটানের মাউন্ট সিনাই সেন্ট লিউক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ২৯ এপ্রিল ২০১৭ শনিবার মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। কাজী আরিফের মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হবে।
------------------
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়