ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, ব্রাজিলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও বিশিষ্ট সংস্কৃতিসেবী মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস-এর মৃত্যুতে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আজ ১২ মার্চ ২০১৭ রবিবার এক শোকবাণীতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, তিনি সরকারী কর্মকর্তা হয়েও সাহিত্য-সঙ্গীত, চিত্রকলার সমঝদার, শিল্পসংগ্রাহক সর্বোপরি বঙ্গবন্ধু অন্তপ্রাণ এক সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন। একইসঙ্গে তিনি ছিলেন একজন পেশাদার কূটনীতিক। তাঁর মৃত্যুতে অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হল। বাংলাদেশ একজন নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা ও সত্যিকার দেশপ্রেমিককে হারাল।
উপাচার্য মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
মিজারুল কায়েসের জন্ম ১৯৬০ সালে কিশোরগঞ্জ জেলায়। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হন। সেখানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন এফ কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্টে উচ্চতর শিক্ষা নেন। এছাড়া, তিনি জাতিসংঘবিষয়ক সংগঠন ‘বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমিতি’র আজীবন সদস্য ছিলেন। ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮২ সালের বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ব্রাজিলে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে দুই বছর যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পররাষ্ট্রসচিব হওয়ার আগেই তিনি মালদ্বীপে হাইকমিশনার ও রাশিয়ায় রাষ্ট্রদূত ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক হিসেবে সার্ক, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, অর্থনৈতিক বিষয়াবলি, আনক্লস ও বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের দায়িত্বও পালন করেন।
উল্লেখ্য, মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বাংলাদেশ সময় গতকাল ১১ মার্চ ২০১৭ শনিবার সকাল ৬টার দিকে ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
---------------
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়