সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন-এর মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। আজ ১১ মে ২০১৬ বুধবার এক শোকবাণীতে উপাচার্য বলেন, অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর সংগঠক। তিনি বঙ্গবন্ধুর একান্ত অনুসারী এবং প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিককে হারালো।’
উপাচার্য তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
মানকিন ১৯৩৯ সালের ১৮ এপ্রিল নেত্রকোনার রামনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত নটরডেম কলেজ থেকে ব্যাচেলর অব আর্টস (বিএ) ডিগ্রি এবং ১৯৬৮ সালে ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে ব্যাচেলর অব এডুকেশন (বি.এড) ডিগ্রী অর্জন করেন। ময়মনসিংহ ‘ল’ কলেজ থেকে ১৯৮২ সালে এলএলবি ডিগ্রিও লাভ করেন। স্কুল শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে পরবর্তীকালে তিনি আইন পেশা এবং এনজিও কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট হন। প্রমোদ মানকিন বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সোসাইটির অন্যতম ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি, খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মানবাধিকার কমিশনের সদস্য এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্যও ছিলেন। ১৯৯১, ২০০১, ২০০৮, এবং ২০১৩ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হওয়া প্রমোদ মানকিন ২০০৮ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব নেন। এরপর ২০০৯ সালের ১৫ জুলাই থেকে ২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন।
উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন আজ ১১ মে ২০১৬ বুধবার ভোরে ভারতের মুম্বাইয়ের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, পাঁচ কন্যা ও এক পুত্রসহ অসংখ্য স্বজন, শুভানুধ্যায়ী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন ।
------------------
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়