“Addressing the Tunnel Threat at Nuclear Facilities-A Case Study” শীর্ষক প্রবন্ধটির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাস্টার্স ৩য় ব্যাচের শিক্ষার্থী মো: মোবাশ্বের আহমেদ ও ওমর আহমেদ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডিসটিংকশন পুরস্কার লাভ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনির্ভাসিটি অব টিননেসি এর ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার সিকিউরিটি পারমাণবিক ভৌতনিরাপত্তা বিষয়ের ওপর বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এ অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় পারমাণবিক ভৌতনিরাপত্তা বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট পলিসি, ল’ এন্ড ডিপ্লোমেসি, এডুকেশন এন্ড ট্রেনিং, সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ও হিউমেন রিলায়েবিলিটি এ চারটি বিষয়ে প্রবন্ধ লেখার জন্য নির্বাচন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম এর তত্ত¡াবধানে সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিষয়ে উক্ত শিক্ষার্থীদ্বয় উল্লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করে এবং প্রবন্ধটি সেরা নির্বাচিত হয়ে ডিসটিংকশন পুরস্কার অর্জন করে।
প্রবন্ধটিতে পারমাণবিক স্থাপনার ভৌতনিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় সুড়ঙ্গ তৈরি করে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা সংক্রান্ত হুমকির বিষয়টি এবং তা আগাম সনাক্তকরণ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেওয়া হয়। এ ধরণের ধারণা অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রচলিত হলেও পারমাণবিক স্থাপনায় সম্পূর্ণ নতুন। আশা করা যায়, এ পুরস্কার অর্জনের ফলে এ ধারণাটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠা লাভের মধ্য দিয়ে পারমাণবিক স্থাপনায় ভৌতনিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও একটি নতুন মাত্রা যোগ হবে যা বিশ্বের সকল তেজষ্ক্রীয় পদার্থ ও পারমাণবিক চুল্লিকে অধিকতর নিরাপদে রাখতে কার্যকরি ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগটি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর গত ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর জাতীয় বিদ্যুৎ সপ্তাহ উদ্যাপন উপলক্ষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবনী প্রকল্প ভাবনা প্রতিযোগিতায় বিভাগের শিক্ষক ড. মো: শফিকুল ইসলাম এর তত্ত¡াবধানে চারজন শিক্ষার্থীর উদ্ভাবিত আধুনিক, সাশ্রয়ী ও ঝুঁকিবিহীন পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের নির্মিত মডেলটি সেরা উদ্ভাবনী ভাবনা হিসেবে পুরস্কার লাভ করে।
------------------
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়