ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে আজ ১৬ নভেম্বর সোমবার বিকেলে প্রাচ্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান শিল্পী ড. মলয়বালার একক “শকুন্তলার পুর্নমিলনী” শীর্ষক প্রাচ্য চিত্রকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী অধ্যাপক সমরজিৎ রায় চৌধুরী এবং দিকদর্শন প্রকাশনার পরিচালক রতন চন্দ্র পাল।
বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, শিল্পকলা চর্চা চেতনা বিকাশের নান্দনিক একাডেমিক মাধ্যম। বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুমাত্রিক ঐতিহ্যপূর্ণ নানা বিষয়ের ডিসিপ্লিনের মত চারুকলা অনুষদের আটটি বিভাগ শিল্পকলা শিক্ষার মাধ্যমে শাণিত করে চলেছে মুক্তচিন্তা ও সংস্কৃতি। এই চিন্তন ভাবনার মাধ্যমে সমাজে পৌঁছে যাচ্ছে শুভ বার্তা। উপাচার্য বলেন, মানবসৃষ্ট সমসাময়িক বাস্তবতার মাঝে আমরা তাই চারুকলার এই চত্বর থেকে উজ্জ¦ীবিত হই, উদ্বুদ্ধ হই। সচেতনতার বার্তা শিল্পীর চোখে পৌঁছে যাচ্ছে সমাজের নানা স্তরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।
উপাচার্য ফান্সের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দু:খ প্রকাশ করে বলেন, এধরণের সন্ত্রাস দমন করার জন্য দ্রæত বিচার করা আবশ্যক। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা মানবতা বিরোধী কর্মকাÐ ঘটিয়েছে দেশী-বিদেশী চক্র এই বিচারে শাস্তিপ্রাপ্ত অপরাধীদের রক্ষা করার অপচেষ্টা করছে। তিনি ‘এ্যামনেস্টি’ নামক সংস্থার প্রসঙ্গ এনে প্রশ্ন রেখে বলেন, তারা-কি প্যারিসের হামলাকারীদের মানবিক অধিকার নিয়ে বিবৃতি দেবে ? উপাচার্য আরও বলেন, বাংলাদেশের স¦ার্থ বিরোধী সকল বক্তব্য আমরা প্রত্যাখান করি। চারুকলা থেকে সংস্কৃতির যে শক্তি আমরা লাভ করি, তা দিয়ে জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। তাতে সহিংসতার বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঘৃণার জন্ম হবে, আমরা মানবতার শত্রæদের ঘৃণা করি। মানবতার জয়গান গেয়ে আমরা এগিয়ে যাব। এই চেতনা রবীন্দ্রনাথের, এই চেতনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। পরিশেষে উপাচার্য মলয় বালাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তার শিল্প সৃষ্টির মঙ্গল কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে নিজের চিত্রকলা প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন ড. মলয় বালা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্য চিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। প্রদর্শনীতে প্রাচ্যরীতির বিভিন্ন মাধ্যম ও শিল্প অনুভূতির নানা প্রবণতা, প্রাচ্যচিত্রকলার ঐতিহ্যের অনুষঙ্গ নিয়ে প্রকৃতির শোভা ও শকুন্তলার সৌন্দর্য একিভুত করে সিরিজ এঁকেছেন মলয় বালা। এতে নব্য বেঙ্গল ঘরানার জলরং ওয়াশ পদ্ধতিতে হাতে তৈরী কাগজে শিল্পকর্মগুলো শিল্পীর শিল্প নৈপুণ্যকে প্রকাশ করেছে।
প্রদর্শনী ১৬নভেম্বর সোমবার থেকে ২২নভেম্বর ২০১৫ রবিবার পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকল শিল্পানুরাগীদের জন্য খোলা থাকবে।
--------------
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে আজ ১৬ নভেম্বর ২০১৫ সোমবার বিকেলে প্রাচ্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মলয়বালার “শকুন্তলার পুনর্মিলনী” শীর্ষক একক প্রাচ্য চিত্রকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্য চিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। (ছবি: ঢাবি জনসংযোগ)