প্রাচ্যকলা বিভাগ (১৯৫৫)
১৯৪৭ সালে অখণ্ড ভারত বিভক্ত হলে কোলকাতা আর্ট স্কুলে শিক্ষাপ্রাপ্ত শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের নেতৃত্বে তৎকালীন ঢাকায় ১৯৪৮ সালে চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয় (বর্তমান চারুকলা অনুষদ) প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময় তিনটি বিভাগ নিয়ে মহাবিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে এবং ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠত হয় প্রাচ্যকলা বিভাগ।
প্রাচ্যকলা বিভাগের মূল উদ্দেশ্য ছিল এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী স্বর্ণোজ্জ্বল শিল্পকলা চর্চার মাধ্যমে বাংলাদেশের নিজস্ব শিল্পধারাকে সমুন্নত রাখা। পশ্চিমা শিল্পধারার অনুপ্রবেশ রোধে তৎকালে কোলকাতায় যে “বেঙ্গল স্কুল”-এর জন্ম হয়েছিল সেই স্কুলের উদ্দেশ্য ও আদর্শ অনুসরণ করে প্রাচ্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাফল্যের সঙ্গে শিল্পচর্চা অব্যাহত রেখেছেন। তবে গত তিন দশকে দেশীয় ঐতিহ্য ও পশ্চিমা উন্নত চিত্রধারার সমন্বয়ে এক নতুন চিত্র ভাষা তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয় শিক্ষকবৃন্দের সক্রিয় সহযোগিতায় প্রাচ্যকলা বিভাগ সকল ক্ষেত্রেই সমৃদ্ধ হয়েছে।
শিক্ষকদের কর্মদক্ষতা, সৃজন প্রতিভা, দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত কর্মশালা ও প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ এবং পুরস্কার অর্জন, দেশে-বিদেশে সুখ্যাতি ও সম্মান বৃদ্ধি করেছে। দেশ এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ নিজস্ব শিল্পধারা রক্ষায় সদা সচেষ্ট এই বিভাগে বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা এবং চাহিদা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাচ্যকলা বিভাগে চার বছর মেয়াদি বিএফএ সম্মান এবং দুই বছর মেয়াদি এম এফএ প্রোগ্রাম চালু আছে। এছাড়া এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু রয়েছে।