ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে গঠিত কমিটির এক সভায় এসব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জুলাই বিপ্লব ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে উপজীব্য করে প্রত্যেক অনুষদে ১টি করে সেমিনার আয়োজন এবং হল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটসমূহের উদ্যোগে পৃথকভাবে আলোচনা সভা/সেমিনার আয়োজন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান: তারুণ্যের কন্ঠস্বর’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দু’দিনব্যাপী আন্ত:বিভাগ বিতর্ক উৎসব আয়োজন এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন।
এছাড়া, গণ-অভ্যুত্থান বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণ করা হবে। শিক্ষার্থী নির্যাতন করার ঘটনা স্মরণে ১৫ জুলাই প্রত্যেক আবাসিক হলে পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
আগামী ১৪ জুলাই রাত ১০টায় এবং রাত ১২টায় আলাদাভাবে টিএসসি’র রাজু ভাস্কর্যের সামনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন করা হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। ১৫ জুলাই ২০২৫ ক্যাম্পাসে এলইডি ডিসপ্লে করা হবে। ১৫ জুলাই থেকে ০৫ আগস্টের মধ্যে যে কোন ১দিন সমাজের সকল শ্রেণির অংশগ্রহণে সর্বজনীন একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সকল গ্রাফিতি সংরক্ষণের লক্ষ্যে একটি প্রকাশনা বের করা হবে। আন্দোলনে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ত ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি স্মরণিকাও প্রকাশ করা হবে। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই যোদ্ধাদের একটি সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে ৩টি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১০/০৭/২০২৫
(মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম )
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়