ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান অনুষদের তিন বছরের (২০২১, ২০২২ ও ২০২৩) ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। আজ ১২ নভেম্বর ২০২৫ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষদের ৮টি বিভাগ ও ১টি ইনস্টিটিউটের মোট ৭৬ জন শিক্ষার্থী ডিনস অ্যাওয়ার্ড পান। এছাড়া দেশে/বিদেশে প্রকাশিত গবেষণা গ্রন্থ এবং স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত মৌলিক প্রবন্ধের জন্য ১০ জন শিক্ষককে ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া কিউওয়ান (Q1) ও কিউটু (Q2) জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের জন্য অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের ৩৮ জন শিক্ষককে প্রণোদনার চেক দেওয়া হয়।
বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম। বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকগণ ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষকদের নাম ঘোষণা করেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিজ্ঞান অনুষদের সকল শিক্ষক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রাধ্যক্ষ ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পর্বেরও আয়োজন ছিলো।

ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- নেছার আলী তিতুমীর, ওমর ইবনে নাজিম, সৈয়দ শোভন মাহবুব মাহিন, মো. জাবের ইবনে তাহের, আরাফাত রহমান, ফাল্গুনী বিশ্বাস (পদার্থবিজ্ঞান), শোভা ইসলাম, মো. হাসান কিবরিয়া, মো. মঈনুল ইসলাম, মো. মিনহাজ উদ্দিন তুর্য, তানভীর আহমেদ খান ফাহিম, জয়ন্তী ঘোষ, তিথি ভূঁইয়া, (গণিত), মো. আল-আমিন হোসেন, সুমাইয়া ফরুকী, মেহেদী হাসান, অনিন্দ্যশ্রী দাস মৌলি (রসায়ন), ফারজানা জামান, নাদিয়া মেহজাবিন ঐশী, মাহজেরিন অন্বেষা, সাহেরা আক্তার, আতিয়াতুজ জাহান, নন্দিতা স্কলাস্টিকা কস্তা, লাবনী আক্তার, বোরহান উদ্দিন, অজয় রাজবংশী, সুমাইয়া সুলতানা সাইবা, নাজিয়া তাসনিম, তানজিনা আক্তার, সৌরভ রায়, মাহমুদা রহমান দিবা, আশরাফুন জান্নাত সুপ্তি, আতিকা অবনী, বিষ্ণু রায়, ঐশ্বর্য বশাক, ফজলে রাব্বী, আদিয়াত ইবনে নাসের, হাসনাইন আহমেদ আলভি, নুসরাত জাহান, আংশুয়া কর্মকার, মাহিমা জান্নাত জেমি, মারিয়া আহমেদ সাফা, মো, সাবিত আল-সাবা রিয়ন, ইকরা মুন নেছা, রওনক তাবাসসুম, কাজী মো. মিফতাহুল হক নোবেল (পরিসংখ্যান), অপূর্ব রায় চৌধুরী, নাফিয়া মল্লিক, প্রলয় চন্দ্র পাল, মো. সাজিদুল ইসলাম সৌরভ, অভয় রায়, নিশাত আক্তার, মাহফুজ ইসলাম সুয়াভ (ফলিত গণিত), তরিকুল ইসলাম, মাহনাজ ইব্রাহিম, মো. নিয়ামুল ইসলাম সিয়াম, সাফায়েত খান সাফি, নাবিল আহমেদ উৎস, দিপু রায়, রিয়াদুল ইসলাম, মো. মুহিতুল আলম, মো. আবদুল্লাহ আল ফাহিম, এ. এফ. এম. তাহসিন শাহরিয়ার, সামিনা নাজনীন, কামরুন নাহার কলি, সাসকিন নেছা কাকলি, মো. আমিনুল ইসলাম সাজিদ, আবু হানিফা, খন্দকার শাহরিয়ার ইসলাম, ফারিয়া রউফ রিয়া, মালিহা বিনতে আলাউদ্দিন, ফারিয়া শারমিন, তায়েবা চেরাগী প্রাচী, রাইসা রাশিদ মিম, নাহিয়ান নুজহাত, আমান উল্যাহ্ আমান (পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট)।
ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ হলেন- ফলিত গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রাকিব হোসেন, পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. ইশরাত রায়হান, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. নেপাল চন্দ্র রায়, অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রাজীব আরেফিন, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শরীফুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মো. জসিম উদ্দিন, প্রভাষক আছমা আক্তার আখি, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহাবুব আলম ভূঁইয়া, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক সামিহা নাহিয়ান।
কিউওয়ান (Q1) ও কিউটু (Q2) জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের জন্য প্রণোদনার চেকপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ হলেন: পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহাবুব আলম ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. আলমগীর কবীর, অধ্যাপক ড. ইসতিয়াক এম সৈয়দ, অধ্যাপক ড. কাজী হানিয়াম মারিয়া, সহযোগী অধ্যাপক ড. কায়সার আহমেদ রকী, সহকারী অধ্যাপক বোরাক উর রহমান রণ, সহকারী অধ্যাপক ইফ্ফাত নূর এশা, সহকারী অধ্যাপক নন্দিতা দেব, সহকারী অধ্যাপক ড. মো. তারেক মাহমুদ, প্রভাষক রাবেয়া সুলতানা, প্রভাষক মো. আব্দুল্লাহ সাইম, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. নেপাল চন্দ্র রায়, অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রাজীব আরেফিন, সহযোগী অধ্যাপক সরকার মো. সোহেল রানা, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শরীফুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ড. গৌতম সাহা, প্রভাষক মো. জসিম উদ্দিন, প্রভাষক আছমা আক্তার আখি, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম, অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানম ফেরদৌসী, সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর আলম সিদ্দিকী, প্রভাষক সামিহা নাহিয়ান, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নিশাত তাসনিম তুষ্টি, ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফেরদৌস, অধ্যাপক ড. লিটন কুমার সাহা, অধ্যাপক ড. জাভীদ ইকবাল বাঙালী, সহকারী অধ্যাপক ড. এস এম চপল হোসাইন, সহকারী অধ্যাপক ড. মুনতাসির আলম, তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রুহুল আমিন, প্রভাষক ড. মো. তানজিব আতিক খান, বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল কাদির এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. ইশরাত রায়হান, প্রভাষক তরিকুল ইসলাম ও প্রভাষক তাসনীম আরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, এই আয়োজনগুলো আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রম ও অর্জনকে সম্মান জানানোর একটি সুন্দর সুযোগ। আমরা জাতি হিসেবে সম্মান জানানোয় কিছুটা কার্পণ্য করি। তাই এমন উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
উপাচার্য বলেন, আমাদের সাফল্য একক প্রচেষ্টার ফল নয়। পরিবার, সহকর্মী, বন্ধু এমনকি সমাজের নানা স্তরের মানুষের অবদান এতে জড়িত। সেই অবদানকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ রাখা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমি সবসময় বিশ্বাস করি-সফলতার মূল চাবিকাঠি মেধা নয়, পরিশ্রম। মেধা হয়তো ১০ থেকে ১৫ শতাংশ সহায়তা করে কিন্তু ৮৫ শতাংশ নির্ভর করে কঠোর পরিশ্রমের ওপর। এই পরিশ্রম কখনোই সহজ নয়। এটি দীর্ঘ, ক্লান্তিকর কিন্তু তাতেই স্থায়ী সাফল্য আসে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, নিজেদের একাডেমিক কাজে নিবেদিত থাকুন, গবেষণা ও প্রকাশনায় এগিয়ে আসুন। প্রতিটি সাফল্যের পেছনে আরও বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করুন-এভাবেই এগিয়ে যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশেষ বক্তা বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাজীবনে স্বীকৃতি একটি অনন্য প্রেরণা। ডিনস অ্যাওয়ার্ড সেই স্বীকৃতির গৌরবময় উদাহরণ। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে গবেষণা ফান্ডিং, কারিকুলাম হালনাগাদ ও ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা বাড়ানো জরুরি। শিক্ষা হতে হবে কর্মমুখী, উৎপাদনমুখী ও জীবনভিত্তিক-তবেই জাতি এগিয়ে যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, এমন উদ্যোগ শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও গবেষণার পরিবেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে প্রশাসন সহায়তা করছে। আমাদের লক্ষ্য একটি গবেষণাধর্মী ও উদ্ভাবনী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, সীমিত সম্পদ ও নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যে অর্জন করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাদের এই অবদানই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বৈশ্বিক র্যাংকিংয়ে এগিয়ে নিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় আরও সুবিধা তৈরি ও আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণায় নেতৃত্ব দিতে কাজ করছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয় এটি জাতি গঠনের আলোকবর্তিকা। বিজ্ঞানচর্চা তখনই অর্থবহ হয়, যখন তা মানবিকতা ও নৈতিকতার সঙ্গে যুক্ত থাকে। আমাদের প্রয়োজন এমন বিজ্ঞানী, যারা জ্ঞানের পাশাপাশি মানবিক ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে দেশকে এগিয়ে নেবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠান মেধা ও জ্ঞানসৃষ্টির উৎসব। কিন্তু দেশে এখনো কার্যকর গবেষণা ইকোসিস্টেম গড়ে ওঠেনি। পর্যাপ্ত অর্থায়ন ও অবকাঠামোর অভাবে জ্ঞানভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় গঠন কঠিন হয়ে পড়ছে। গবেষণায় ইনসেন্টিভ, জার্নাল অ্যাক্সেস ও পূর্ণাঙ্গ রিসার্চ ইকোসিস্টেম অপরিহার্য। আমরা ইতোমধ্যে ১,০০০ কোটি টাকার গবেষণা তহবিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি-যা বাস্তবায়িত হলে গবেষণায় নতুন গতি আসবে।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম বলেন, আজকের দিনটি আমাদের বিজ্ঞান অনুষদের জন্য গৌরব ও প্রেরণার দিন, যেখানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রম ও একাডেমিক উৎকর্ষকে স্বীকৃতি দেওয়া হলো। শিক্ষা শুধু পরীক্ষার ফলাফলে সীমাবদ্ধ নয়, প্রকৃত বিজ্ঞানী মানবিকতা ও সমাজকল্যাণে জ্ঞান প্রয়োগ করেন। আমাদের শিক্ষকরা নিয়মিত কিউওয়ান (Q1) ও কিউটু (Q1) জার্নালে গবেষণা প্রকাশ করছেন, যা অনুষদের মানের প্রমাণ। গবেষণাকে এগিয়ে নিতে যথাযথ ফান্ডিং ও ইনসেন্টিভ মেকানিজম অপরিহার্য।

১২-১১-২০২৫
ফররুখ মাহমুদ
উপ পরিচালক
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।