ঢাবি প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও উদ্যোগের
সাপ্তাহিক হালনাগাদ তথ্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম গতিশীল করা, শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়ন, বিভিন্ন সংকট নিরসন, সহশিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম জোরদার এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিং-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানকে আরও সম্মানজনক পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সপ্তাহে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে। প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের সাপ্তাহিক হালনাগাদ তথ্য পরিবেশিত হলো:
১। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের বিভাগ/ইনস্টিটিউট ও হলের জামানতসহ বিভিন্ন ফি প্রদানের ক্ষেত্রে বিড়ম্বনা ও ভোগান্তি নিরসনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা অনলাইনে অথবা নিজ নিজ বিভাগ/ইনস্টিটিউট/হল অফিসে এসব জামানত ও ফি-এর টাকা জমা দিতে পারবেন। প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনলাইনে ভর্তি ফি প্রদান সংক্রান্ত এক সভার সুপারিশের আলোকে সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে প্রথমবারের মতো এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হলো। এই উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীদের পূর্বের মতো লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ব্যাংকে ফি জমা দেওয়ার ভোগান্তি পোহাতে হবে না। শিক্ষার্থীরা ভর্তি ও অন্যান্য ফি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য অনলাইনে ভর্তির ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন।
উল্লেখ্য, অভ্যন্তরীণ বিজ্ঞপ্তি ও ই-মেইলের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও হলকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যেই নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
২। দুর্বৃত্তের আক্রমণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য’র নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এ ব্যাপারে কারো কাছে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য-প্রমাণ থাকলে আগামী ১৮ মে ২০২৫ তারিখের মধ্যে (Whatsapp নম্বরে ০১৭৭৫৫৫০৬১৪) প্রেরণ করা জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। এছাড়া, সরাসরি সাক্ষাৎকার প্রদানে আগ্রহীদের আগামী ১৮ মে ২০২৫ তারিখ বিকেল সাড়ে ৪টায় কলা অনুষদ ডিন অফিসে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
৩।যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের নানজিং ইউনিভার্সিটির মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিপিসি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং নানজিং ইউনিভার্সিটি যৌথ বৈজ্ঞানিক গবেষণাসহ শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে একযোগে কাজ করবে। এছাড়া, উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণা সরঞ্জাম, তথ্য-উপাত্ত, প্রকাশনা এবং শিক্ষক, গবেষক এবং শিক্ষার্থী বিনিময় করা হবে। এই দু’বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম এবং সম্মেলন আয়োজন করবে।
৪। চীন এবং বাংলাদেশের মধ্যে শিক্ষা-গবেষণা ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে চায়না ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনস গ্রুপের (সিআইসিজি) সভাপতির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বাংলায় পাঠ্যপুস্তক অনুবাদ বিষয়ে যৌথ সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
৫। সদাচরণ, ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতি ও পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ১০ জন শিক্ষার্থীকে ‘মো. নুরুল ইসলাম স্মারক ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি’ প্রদান করা হয়েছে। উপাচার্য চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়ন কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন। কোষাধ্যক্ষের সভাপতিত্বে¡ অনুষ্ঠানে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- মো. মেহেদী হাসান (বাংলা), আরিফুল ইসলাম রিমন (ইংরেজি), মো. উদয় ভূইয়া (ম্যানেজমেন্ট), মো. সিয়াম আফ্রিদি (একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস), মো. কলিম উল্লাহ (ফিন্যান্স), সুমাইয়া রহমান (অর্গ্যানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি এন্ড লিডারশীপ), রুমানা আলম নিশি (অর্থনীতি), ইফফাত জেরিন পারিসা (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক), আফরিন জাহান পায়েল (লোক প্রশাসন) এবং আফসানা মীম (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট)।
৬। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি ১৮জন গবেষক পিএইচ.ডি, ১৪জন এম.ফিল এবং ৩জন ডি.বি.এ.ডিগ্রি অর্জন করেছেন। গত ২৪ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক সভায় তাদের এসব ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
৭। আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবি জসীম উদ্দীন হল চ্যাম্পিয়ন এবং রোকেয়া হল রানার-আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন। দুই দলের বিতার্কিকদের বিতর্ক ও যুক্তি-তর্ক খন্ডন শেষে বিচারক মন্ডলীর মূল্যায়নে কবি কবি জসীম উদ্দীন হল ৪-১ ব্যালটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়। কবি জসীম উদদীন হল বিতর্ক দলের দলনেতা রাগিব আনজুম শ্রেষ্ঠ বক্তা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
৮। ২৯ তম জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. তাইম হাওলাদার ব্যক্তিগত ইভেন্টে ৫০ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণপদক লাভ করেছেন। মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪জন ছাত্র এবং ১জন ছাত্রী দলগত ও ব্যক্তিগত ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন।
৯। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্গ্যানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি এন্ড লিডারশীপ বিভাগে ‘Fundamentals of Research Methodology-02’ শীর্ষক মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষ হয়েছে। উপাচার্য কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন। এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ৩৮জন শিক্ষার্থী ও গবেষক অংশ নেন।
১০। ‘বিশ্ব আন্ত:ধর্মীয় সম্প্রীতি সপ্তাহ’ উদযাপনের অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘৬ষ্ঠ আন্ত:ধর্মীয় সম্প্রীতি বিতর্ক উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন্স ডিবেটিং ক্লাব’ এই বিতর্ক উৎসব আয়োজন করে। উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ‘সভ্যতার বিবর্তনে নদী ও ধর্ম’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এই বিতর্ক উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২ টি বিতর্ক দল অংশ নেয়। এতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেনারি সায়েন্স অনুষদের বিতর্ক দল চ্যাম্পিয়ন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের বিতর্ক দল রানার্সআপ হয়।
১১। নারীদের আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা, আত্মরক্ষার ব্যবহারিক কৌশল শেখানো এবং নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামে আত্মরক্ষা বিষয়ক “Rise and Resist: Self-Defense Workshop for Girls”-শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) কর্মশালা উদ্বোধন করেন। দিনব্যাপী এই কর্মশালায় প্রায় ১০০ জন ছাত্রী অংশ নেন।
১২। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক শান্তি শোভাযাত্রা বের করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তি শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন এবং সম্প্রীতি উৎসবের উদ্বোধন করেন। শোভাযাত্রাটি টিএসসি হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
১৩। প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন স্টাডিজ বিভাগের এক দশক পূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লেকচার সিরিজসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। লেকচার সিরিজের উদ্বোধনী পর্বে ‘প্রকাশনার হালচাল’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
১৪। রোকেয়া হলে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। মেডিকেল ক্যাম্পে গাইনি, ডার্মাটোলজিস্ট, মেডিসিন এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞগণ চিকিৎসা প্রদান করেন। মেডিকেল ক্যাম্পে রক্ত পরীক্ষা ও ডায়াবেটিস নির্ণয়ের ব্যবস্থা ছিল। হলের চামেলী ভবনের পানির ট্যাংক পরিস্কার করা হয়েছে। হল লাইব্রেরিতে বই ক্রয়ের জন্য ছাত্রীদের নিকট থেকে বইয়ের তালিকা নেয়া হয়েছে।
১৫। শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা এবং আত্মউন্নয়নের লক্ষ্যে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলে ট্রমা ম্যানেজমেন্ট ও টোটাল ফিটনেস বিষয়ক বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ট্রমা মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধি, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং মেডিটেশন বিষয়ে সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। শিক্ষার্থীদের টোটাল ফিটনেস অর্জনে বিভিন্ন ব্যায়াম ও শ্বাস প্রশ্বাসের অনুশীলন করানো হয়। সেমিনার শেষে ‘আমি পারি’ মেডিটেশনের মাধ্যমে সবাই আত্মনিমগ্ন হন। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রকাশনা ‘মেডিটেশন বুলেটিন’ ও ‘ট্রমা ম্যানেজমেন্ট’ সংক্রান্ত একটি ব্রোশিউর উপহার দেয়া হয়। পিএলআর চলাকালীন/সমাপ্ত হওয়ায় হলের ২জন কর্মচারীকে এক অনুষ্ঠানে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়।
১৬। কবি জসীম উদ্দীন হলের সাইকেল স্ট্যান্ডে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা অকেজো বাইসাইকেলসমূহ অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়া, হলের আবাসিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে সাইকেল স্ট্যান্ডে সার্বিক পরিচ্ছন্নতা অভিযান পারিচালিত হয়।
১৭। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ছাত্রীদের ব্যবহারের জন্য ১৩টি ময়লার বিন স্থাপন করা হয়েছে। হল ইউনিট বাধঁন-এর উদ্যোগে টি.টি. টিকা প্রদান ও বিনামূল্যে ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় করা হয়।
১৮। কবি সুফিয়া কামাল হলের সকল আবাসিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। হলের প্রশাসনিক ভবনের অফিস কক্ষ ও লবি রং করাসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রেরিত ২০০টি ফ্যান দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কক্ষে স্থাপনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের ঠান্ডা পানি পাওয়ার নিমিত্তে ২টি ফ্রিজ হলের লবিতে রাখা হয়েছে। হলের লাইব্রেরির একাংশে ১০ টি ল্যাপটপ সম্বলিত একটি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। উল্লিখিত ল্যাপটপ সমূহ শিক্ষার্থীবৃন্দ সকাল ৯.০০ টা থেকে ৫.০০ টা পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন ।
১৯। বিজয় একাত্তর হলের বিদ্যমান কম্পিউটার ল্যাবটির সকল কম্পিউটার আপগ্রেডেশন সম্পন্ন করে পুনরায় সচল করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রধান অতিথি হিসেবে ল্যাবের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। কম্পিউটার ল্যাবের পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রাথমিকভাবে হলের ৭জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েট এসিসটেন্ট (খন্ডকালীন) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
২০। ‘প্রয়াত এএনএম জাহেদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড’-এর আওতায় পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের লক্ষ্যে বৃত্তি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে বিভাগের শিক্ষকবৃন্দের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে প্রতি ব্যাচ থেকে ২০২৩ সনের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরধারী ১জন ছাত্র ও ১জন ছাত্রীকে বৃত্তি প্রদানের লক্ষ্যে ১লক্ষ ৪৬হাজার টাকা দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
২১। ইংরেজি বিভাগ “Writing and Publishing in Academic Journals: An Editor’s Perspectives” শীর্ষক একটি সেমিনার আয়োজন করে। এতে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার (IIUM) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ও Asiatic (Scopus-and Web of Science-indexed journal) জার্নালের সম্পাদক ড. মাহমুদুল হাসান। তিনি তাঁর গবেষণা ও সম্পাদনার অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেন। এছাড়া, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য “From Panic to Plan: Navigating Exam Season With Confidence” শীর্ষক একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
২২। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে ০৩ দিনব্যাপী ‘B-TopCS Program - How to Make Top Management Aware of Cybersecurity (TMA)Training of Trainers(ToT)’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। Japan International Cooperation Agency (JICA) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (BCC) -এর যৌথ সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ শিক্ষক, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আইটি বিষয়ক কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
১৫/০৫/২০২৫
(মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম)
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়