ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ২০২০ ও ২০২১-এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আজ ২২শে মে ২০২৩ সোমবার বেলা সাড়ে বারোটায় চারুকলা অনুষদের ওসমান জামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে চারুকলা অনুষদের মাননীয় ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন উপস্থিত ছিলেন ।
মাননীয় উপাচার্য ভাস্কর্য বিভাগের এই প্রদর্শনীতে কোভিড অতিমারী চলাকালে অনলাইন শিখন-পঠনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের রচিত শিল্পকর্মগুলোর ভারচুয়াল উপস্থাপনকে বিশেষ সাধুবাদ জানান। কোভিড পরিস্থিতে ঘরে বসে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যহত রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য প্রাক্তনি সংঘ বিভাগের শিক্ষার্থীদর স্মার্ট ডিভাইস সুবিধা পেতে সহযোগিতা প্রদান করে । মাননীয় উপাচার্য সে কারণে প্রাক্তনি সংঘকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। তিনি বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই বিষয়েও আলোচনা করেন। এআই কিভাবে মানবতার জন্য এবং মানুষের সৃজনশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে তার উল্লেখ করেন। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি কীভাবে মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে পরিবর্তিত করছে এবং জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলছে সে বিষয়ে বিশ্লেষণাত্মক বক্তব্য রাখেন। তিনি এ বিষয়ে এখনই সকলের সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন।
এর আগে প্রদর্শনী কমিটির আহŸায়ক অধ্যাপক লালা রুখ সেলিম স্বাগত বক্তব্যে এবারের প্রদর্শনীর ধরণ সম্পর্কে অবগত করেন। ২০২০ সালের প্রদর্শনীতে কোভিড পরিস্থিতিতে যে সকল শিক্ষার্থী অন-লাইনে ক্লাস করে তাদের শিল্পকর্মগুলোর ভার্চুয়াল উপস্থাপনের প্রসঙ্গটি বিশেষ গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করেন । তিনি জানান, ২০২১ সালের শিল্পকর্মগুলি যথারীতি গ্যালারি কক্ষে উপস্থাপিত হয়েছে। ফলে প্রদর্শনীটি একচুয়াল ও ভার্চুয়াল উপস্থাপনের একটি যৌগ রূপ পেয়েছে। বিভাগের সভাপতি ড. নাসিমা হক মিতু আগত সকল অতিথি এবং প্রদর্শনী সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। চারুকলা অনুষদের ডিন, অধ্যাপক নিসার হোসেন বিদ্যায়তন হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য বিভাগের কার্যক্রম ও ভাস্কর্য বিষয়ে যে অত্যন্ত ইতিবাচক ধারনা পোষণ করে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন।
মাননীয় উপাচার্য পুরস্কার বিতরণের পূর্বে ভাস্কর্য বিভাগের হীরকজয়ন্তী লোগো আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন। প্রতি বছরের মতো এবারও প্রতি শিক্ষাবর্ষে ২টি শ্রেষ্ঠ ও ৩টি স্মৃতি পুরস্কারসহ দুই শিক্ষাবর্ষে মোট ১০টি পুরস্কার প্রদান করা হয়।