ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম গতিশীল করা, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়ন, বিভিন্ন সংকট নিরসন, সহশিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম জোরদার এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানকে আরও সম্মানজনক পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সপ্তাহে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে। প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের সাপ্তাহিক হালনাগাদ তথ্য পরিবেশিত হলো:

১। ডাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘জুলাই স্মৃতি সংগ্রহশালা’ উদ্বোধন করা হয়েছে। পরে ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সংগ্রহশালাটি ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মৃতি রক্ষার্থে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
উপাচার্যের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ‘জুলাই স্মৃতি সংগ্রহশালা’ বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া, শহীদ ওয়াসিম আকরামের বাবা শফিউল আলম, শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান, ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, শহীদ আবু সাঈদের ভাই আবু হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, হল প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধি এবং আহত শিক্ষার্থীবৃন্দ।

২। পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি এবং চলমান যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করার ব্যাপারে জাপানের এহিম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উপাচার্যের বিভিন্ন উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এহিম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে ৬-দিনের এক সফরে উপাচার্য বর্তমানে জাপানে অবস্থান করছেন। 
উপাচার্যের জাপান সফরকালে দু’বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এসংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।  
সফরকালে, উপাচার্য ‘Implementing Water Quality Monitoring and Purification Technologies to Control Health Risks for Antimicrobial Resistance (AMR) in the Dhaka Metropolitan Area’ শীর্ষক একটি যৌথ সহযোগিতামূলক গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে এহিম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। জাইকা এবং জেএসটি-এর অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। 
এছাড়া, উপাচার্য জাপানের সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট: আঞ্চলিক নিরাপত্তা ঝুঁকি, প্রত্যাবাসনের পথ এবং জীবিকা নির্বাহের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তৃতা প্রদান করবেন।

৩। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামী ২৯ জুলাই। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। সম্প্রতি নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অংশীজনদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই তথ্য জানানো হয়।
চীফ রিটার্নিং কর্মকর্তার সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন), প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা), রিটার্নিং কর্মকর্তাগণ, প্রক্টর, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, অনুষদের ডিনবৃন্দ, শিক্ষকদের প্রতিনিধিবৃন্দ, হল প্রভোস্টবৃন্দ, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং অংশীজনরা সভায় উপস্থিত ছিলেন ।
সভায় জানানো হয়, নির্বাচন উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে ৬টি নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলো হলো:

১. কার্জন হল কেন্দ্র (পরীক্ষার হল): ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক মুসলিম  হলের শিক্ষার্থীরা এই কেন্দ্রে ভোট দিবেন।
২. শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র: জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা এই কেন্দ্রে ভোট দিবেন।
৩. ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি): রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল ও কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা এই কেন্দ্রে ভোট দিবেন।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্র: বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা এই কেন্দ্রে ভোট দিবেন।
৫. সিনেট ভবন কেন্দ্র (অ্যালামনাই ফ্লোর, সেমিনার কক্ষ, ডাইনিং রুম): স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা এই কেন্দ্রে ভোট দিবেন।
৬. উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র: সূর্যসেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, কবি জসীম উদদীন হল ও শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থীরা এই কেন্দ্রে ভোট দিবেন।

৪। (ক) জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে  চারুকলা অনুষদের ওসমান জামাল মিলনায়তনে “জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: শোক ও বিজয়” শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া, এ উপলক্ষ্যে অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে ৪-দিনব্যাপী এক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং শিল্পকর্ম প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন।
আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
(খ) অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগে ‘Educational Exchange Program’ শীর্ষক একটি পেইন্টিং ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন আর্টস স্কুলের সঙ্গে যৌথভাবে এই ওয়ার্কশপ আয়োজন করা হয়।
(গ) দেশের প্রথিতযশা ভাস্কর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য বিভাগের অনারারি অধ্যাপক মো. হামিদুজ্জামান খানের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরহুমের মরদেহ চারুকলা অনুষদে নিয়ে আসা হয়। অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, অ্যালামনাইবৃন্দ, শিল্পীবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

৫। ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথমবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শেখ মুজিবুর রহমান হলে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ও শহিদ স্মরণে’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এসময় হল প্রাধ্যক্ষ এবং হলের আবাসিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

৬। ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথমবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে পালি এন্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের উদ্যোগে “স্মৃতিতে ভাস্কর রক্তাক্ত জুলাই: সাম্য ও মানবতার বাংলাদেশ” শীর্ষক এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

৭। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে জাতিসংঘের ইন্ডিপেন্ডেন্ট সায়েন্টিফিক প্যানেল অন ইফেক্টস অফ নিউক্লিয়ার ওয়ার (Independent Scientific Panel on Effects of Nuclear War)-এর ২১-সদস্য বিশিষ্ট প্যানেলে বিশেষজ্ঞ পরিবেশ রসায়নবিদ হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। পারমাণবিক যুদ্ধ এবং পারমাণবিক দুর্ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং এর প্রতিক্রিয়ার বাস্তব চিত্র অনুধাবনে জাতিসংঘের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী নিউইয়র্ক ভিত্তিক এই গবেষণা প্যানেল কাজ করবে। পারমাণবিক যুদ্ধ ও নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট দুর্ঘটনায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের উপর সৃষ্ট সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব বিশ্লেষণ ও তার প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা উদ্ভাবনে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ প্যানেলে বাংলাদেশী পরিবেশ রসায়নবিদ হিসেবে কাজ করবেন অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব।
অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব ২০২৪ সাল থেকে জাতিসংঘের পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ আন্তর্জাতিক চুক্তির জন্য গঠিত প্যানেল ‘The Treaty on the Prohibition of Nuclear Weapons (TPNW-Network)’-এর বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।

৮। নৃবিজ্ঞান বিভাগ অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘Intangible Cultural Heritage for University Students’ শীর্ষক এক বিশেষ বক্তৃতামালা আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তৃতামালা উদ্বোধন করেন। ইউনেস্কো ও আইসিএইচসিএপি-এর সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। 
ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান কিজি তাহনিন (Kizzy Tahnin), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম আরিফ মাহমুদ এবং ইউনেস্কো’র কো-অপারেশন এন্ড নেটওয়ার্কিং অফিসের পরিচালক চা বোইয়াং (Cha Boyyoung) পৃথক বিষয়ে বিশেষ বক্তৃতা প্রদান করেন।

৯। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পোস্টার প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘টিম নেক্সাস’ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এতে ১ম ও ২য় রানার্স-আপ হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘টিম ইনসাইট’ এবং ‘টিম কন্ট্রোল’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাউন্টিং বিভাগ নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘ইন্টার-ইউনিভার্সিটি আইএফআরএস পোস্টার প্রেজেন্টেশন’ শীর্ষক এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন। আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিবেদন মান (আইএফআরএস) সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং এ বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। 
এই প্রতিযোগিতায় দেশের সরকারি-বেসরকারি ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩টি দল অংশ নেয়।

১০। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাপ্লাইড ডেমোক্রেসি ল্যাব-এর উদ্যোগে ‘Bangladesh's Constitutional Reforms: Recommendations, Challenges and Global Best Practices’ শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্যানেল আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯টি বিভাগের দেড়শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। আলোচনা শেষে উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

১১। (ক) রোকেয়া হলের বিতর্ক সংগঠন রোকেয়া বিতর্ক অঙ্গন আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্রী মাহিনুর আক্তার মিম চ্যাম্পিয়ন, আইন বিভাগের ছাত্রী মারজান বিনতে আমিনুল্লাহ রানার আপ এবং বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্রী সামিয়া জামান মাহি ২য় রানার আপ হয়েছে। প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) হল মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
(খ) হলের পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ক্লাবের উদ্যোগে হলে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন ও বৃক্ষরোপণ করা হয়। এছাড়া, ক্লাবের উদ্যোগে কর্মশালা, আলোচনা, উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা ও নেচার ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
(গ) জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়।
(ঘ) হলের প্রধান ফটকে একটি সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং হলের সকল সিসি টিভি ক্যামেরা সচল করা হয়েছে।

১২। (ক) শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথমবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
(খ) জুলাই শহীদ স্মৃতি স্মরণে হল ইউনিট বাঁধন বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে।
(গ) মাইলষ্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের সহায়তার জন্য হলের রেঞ্জার ছাত্রীরা ভলিন্টিয়ার সার্ভিস প্রদান করেন।

১৩। কবি জসীম উদ্দীন হলের সাইকেল স্ট্যান্ড সংস্কার এবং এর ব্যবহার শুধু হলের শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সাইকেলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে হল প্রশাসনের উদ্যোগে ২০০ জন শিক্ষার্থীকে স্মার্ট সাইকেল কার্ড প্রদান করা হয়েছে।

১৪। বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বিভিন্ন ব্লকের বাথরুম ও গোসলখানার সমস্যাগুলো সমাধান করা হয়েছে। হলের নিয়মিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

১৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে তরুণ লেখক সম্মেলন আয়োজন করে। প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মেলন উদ্বোধন করেন।
সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। প্রদর্শনী, মাইম শো, সেমিনার, ক্যারিয়ার গঠন বিষয়ক আলোচনা সভা, প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে দিনব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত ম্যাগাজিন ‘সরসিজ’-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

২৪/০৭/২০২৫
(মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম)
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়